বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আসল মোড়কে নকল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আসল পণ্যের মোড়ক ব্যবহার করে নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করত একটি চক্র। ওই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ। সোমবার রাজধানীর মুগদায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- মহিউদ্দিন ওরফে সাগর (৩৪), নাজিম হোসেন (২৫), এম কে পারভেজ (৫২), আনোয়ার হোসেন (২৪) ও উজ্জ্বল হোসেন মুকুল (৩০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল প্রসাধনী তৈরির মেশিন ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নামি-দামি ব্র্যান্ডের ইতালিয়ান স্কিন অলিভ অয়েল, ক্রিম, মেহেদি, লুজ অলিভ অয়েল, কাস্টার অয়েল, গ্লিসারিন, হেয়ার রিমুভার ক্রিম, ডক্টরস ক্রিমসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা এসব প্রসাধনীর বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।

গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী উৎপাদন চক্রের গ্রেফতার হওয়া ওই পাঁচজন অধিক মুনাফা লাভের আশায় দেশের নামকরা বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল প্রসাধনী বিক্রি করত। এর ফলে স্বনামধন্য কোম্পনিগুলোর সুনাম নষ্ট ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। নকল প্রসাধনী বাজারে ছাড়ার সময়ে চক্রটি ভেজাল প্রসাধনীগুলো অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক, নকল প্রতীক, নকল বিএসটিআই (লোগো) মোড়কে ব্যবহার করত। ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে সাধারণ ভোক্তারা স্কিন ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই বলেন অলিভ অয়েল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় না। কিন্তু নকল অলিভ অয়েল খেয়ে অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছেন।

এরপর পৃথক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ঠিকাদার পরিচয়ে নকল চালান দিয়ে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক তরিকুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেছে ডিবির ওয়ারী বিভাগ। রাজধানীর কদমতলীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, পাঁচটি সিম, একটি ল্যাপটপ, একটি ডেক্সটপ, ১৮টি ক্যামেরা, ৭৬টি ভিজিটিং কার্ড, আটটি আইডি কার্ড, দুটি পাসপোর্ট, একটি ব্যাংক চেক ও দুটি সিল জব্দ করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে তরিকুল ইসলাম দৈনিক স্বাধীন বার্তা নামক অনুমোদনবিহীন নিউজপোর্টাল, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিজেকে সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছিলেন। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক হানিফ নামে নিজেকে পরিচয় দিতেন তরিকুল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর