বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিল বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬৯ কোম্পানির শেয়ার দরের ওপর ফ্লোর প্রাইস (দর কমার সীমা) তুলে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এখন থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ এক শতাংশ কমতে পারবে। গতকাল বিএসইসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতন দেখা দিলে গত ২৮ জুলাই প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে     দেয় বিএসইসি। এতে শেয়ারবাজারে দরপতন কিছুটা কমলেও দেখা দেয় লেনদেন খরা। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এক দিনে সর্বোচ্চ এক শতাংশ কমতে পারবে। অন্যদিকে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। সার্কিট ব্রেকারের বর্তমান নিয়মানুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে থাকা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। একইভাবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানের আট দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকলে সাত দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে থাকলে ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলে পাঁচ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার ওপরে হলে সর্বোচ্চ তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে। দরপতন শেয়ারবাজারে : সপ্তাহের চতুর্থ দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতন হলো শেয়ারবাজারে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৩টির। আর ২০৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মূল্যসূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরেই আটকে আছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩২২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। টাকার অংকে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫২টির এবং ৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর