শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দুর্ভোগ নিয়েই ছুটছে মানুষ

প্রতিদিন ডেস্ক

দুর্ভোগ নিয়েই ছুটছে মানুষ

টানা তিন দিনের ছুটিকে ঘিরে সড়কে তৈরি হয়েছে প্রচ- চাপ। যানজটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে পথে-ঘাটে। তবে তাতে থেমে নেই যাত্রা। মানুষ এ দুর্ভোগকে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

মুন্সীগঞ্জ : পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। সেতুর উত্তর থানাধীন এলাকা থেকে দোগাছিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বেশির  ভাগ পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রাইভেটকার। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুপুরের পর থেকে চাপ কমতে থাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন জানান, আসন্ন বড়দিনসহ সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেক মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন। এ কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

এদিকে পণ্যবাহী ট্রাক ও গণপরিবহনের চালকরা বলছেন, টোল প্লাজায় কর্মী সংখ্যা বাড়ালে এবং অভিজ্ঞদের নিয়োগ দিলে এ যানজটের সমস্যা কমানো সম্ভব।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : টানা তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিমকে মহাসড়কে কাজ করতে দেখা গেছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় এলাকায় গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যানবাহন সংকটের কারণে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, বাস কাউন্টারগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করছেন টিকিট কাউন্টার মালিকরা। তাদের দাবি, সরকারের নির্ধারিত ভাড়াই যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলে ছুটছেন। যানবাহন কম থাকায় অনেকে মাইক্রোবাসে চড়ে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে। সফিকুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, যাত্রী বেশি থাকায় আজও বাসচালকরা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা চাচ্ছে। যেতে তো হবেই তাই বাড়তি ভাড়া দিয়েই গ্রামে যাচ্ছি।

হাফিজুর রহমান নামের আরেক যাত্রী জানান, পরিবার নিয়ে ফেনী যাব বলে ৩০ মিনিট ধরে শিমরাইল মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনো বাস শিমরাইল মোড়ে এসে পৌঁছায়নি। কখন নাগাদ বাস আসবে জানি না। পরিবার নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে এক প্রকার দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।

ড্রিম লাইন বিডি পরিবহনের বাসচালক আলমগীর হোসেন জানান, প্রত্যেকটি পয়েন্টে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় আমাদের নির্দিষ্ট সময়ে স্ট্যান্ডগুলোতে আসা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রাতের তুলনায় আজ যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম রয়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম আজাদ জানান, টানা ছুটির কারণে মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বেশি। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশের ৬-৭টি টিম মহাসড়কে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্ট ছাড়া বাস থামতে দিচ্ছি না।

সর্বশেষ খবর