কুমিল্লার মেঘনা উপজেলাকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে মেঘনা, কাঁঠালিয়া ও গোমতী নদী। এ তিনটি নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। এ চরগুলোতে শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে থাকেন চাষিরা। এর মধ্যে খিরা অন্যতম। চরে খিরা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মেঘনা পাড়ের অসংখ্য চাষি।
জানা যায়, প্রায় ৭০ বছর আগে উপজেলার লুটেরচর ইউনিয়নের চাষিরা প্রথমে এখানে খিরা চাষ শুরু করেন। এখন তা লুটেরচর ছাড়িয়ে মেঘনার ভাটিতেও বিস্তার ঘটেছে। বিপ্লবের এ ছোঁয়া লেগেছে আশপাশের জনপদেও। শীতে স্থানীয় চরগুলো হয়ে যায় খিরার চর। মাইলের পর মাইল যত দূর চোখ যায়, শুধু দেখা যায় খিরা আর খিরার খেত। দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার চরের ৫ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি খিরা উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ২ কোটি টাকারও বেশি। অনেকেই চরে খিরা চাষের দিকে আগ্রহ বেশি। মেঘনার লুটেরচর, সাতঘরিয়ারকান্দি, দড়িলুটেরচর, মোহাম্মদপুর, রামপ্রসাদেরচর, টিটিরচর, সোনারচর, শেননগর, দাউদকান্দি উপজেলার গঙ্গাপ্রসেদ, বাহেরচর, হাসনাবাদ, গোলাপেরচর, চেঙ্গাকান্দি, নয়াহাসনাবাদ, দুধঘাটাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার অনেক চাষি দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বীজ কিনে আনে।