শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই বিচারকের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের আদালত বর্জন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল হকের অপসারণ দাবিতে তিন দিনের জন্য আদালত বর্জন শুরু করেছেন আইনজীবীরা।

এদিকে এ কারণে সকাল থেকে জেলা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল আদালতসহ সবকটি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। আইনজীবীরা গতকাল সকাল থেকে আদালত বর্জন করে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লিটন, মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, গত ১ ডিসেম্বর বিকালে মামলা দায়ের করতে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক তা না নিয়ে জেলার আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেন। এর আলোকে ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আদালতের নাজির মোমিনুল হক মুমিনকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। অথচ তাকে রক্ষায় জেলা জজের ইন্ধনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা। এরই প্রতিবাদে তারা এ তিনজনের অপসারণ দাবিতে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার সব কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান বক্তারা। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সময় পার হয়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মামলাটি নেননি। তবে এ কারণে একজন বিচারককে আইনজীবীরা যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার সঙ্গে আচরণ করেছেন তা দুঃখজনক। এই আচরণ আইন পরিপন্থী। এ ছাড়াও তিনি জেলা জজের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের আনীত অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, জেলা জজকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য সংবিধান পরিপন্থী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতন্ডা হয়।

সর্বশেষ খবর