বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ছাত্রলীগ নেতার হাতে প্রহৃত শিক্ষার্থীসহ ৬

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

শিক্ষকের কক্ষে জোর করে ঢুকে আফতাব নামে এক শিক্ষার্থীর মা ও খালুকে মারধর করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। এ সময় সহকারী প্রক্টরসহ তিন শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভেটেরিনারি অনুষদের ফার্মাকোলজি  বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলামের কক্ষে ওই ঘটনা ঘটে। পরে ওই রাতেই গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম (একাংশ) আহূত সংবাদ সম্মেলনে মারধর ও লাঞ্ছনার বিবরণ দেওয়া হয়। এজন্য কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে রিয়াদকে সাত দিন সময় দিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভেটেরিনারি অনুষদ ভবনে সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় আফতাব দুর্বার নামে এক পরীক্ষার্থীকে কিছু শিক্ষার্থী মারধর করতে উদ্যত হন। কক্ষে দায়িত্বরত একজন শিক্ষক বিষয়টি ওই বিভাগের শিক্ষক ও গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ইসলামকে জানান। তিনি দ্রুত বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আফতাব একই ভবনে শিক্ষক পূর্বা ইসলামের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন। তবে প্রক্টর বিষয়টি সমাধান না করেই পূর্বা ইসলামের কক্ষ থেকে চলে যান। আরও বলা হয়, এরপর ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফুর রহমান রিয়াদের নেতৃত্বে একদল ছাত্র সেখানে ঢোকেন। তারা আফতাবকে মারধর করেন। এ সময় পূর্বা ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর আফরিনা মুস্তারি তাকে রক্ষা করতে গেলে তারা ওই দুই শিক্ষকসহ তিনজনকে লাঞ্ছিত করেন। ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াদ বলেন, ‘আফতাব দুর্বারের নামে মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আটটি অভিযোগ আছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরাই তাকে মারতে যায়। কোনো শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়নি।’

সর্বশেষ খবর