চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীকে (৪০) পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকালে শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর ওপর হামলার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সারা দেশে জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে গতকাল কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়। আহত ইউসুফ আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অহিদুল ইসলাম ও মহাসচিব এস এম শফিউল বারী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার নিজ কক্ষে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হায়াত সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ইউএনওর উসকানি ও নির্দেশে কতিপয় দুষ্কৃতকারী হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ইউসুফ আলীকে আহত করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন অধিদফতরের আওতাধীন সারা দেশের জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হবে। শিবগঞ্জ ইউএনও আবুল হায়াত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মানুষের অতিরিক্ত ক্ষোভের কারণে এমনটি ঘটেছে বলে তিনি ধারণা করছেন। তিনি বলেন, শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রয়াত কর্মচারীর প্রতিবন্ধী মেয়ের পেনশনের দাবির আবেদন নিয়ে দুপুরে কথা বলতে গিয়েছিলাম। ওই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন। সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী এ সময় অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা ঘটে বেলা ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার (সাব-রেজিস্ট্রার) ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, ‘তার ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে আমাদের সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।’ আহত সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী মোবাইল ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
