হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ২ কেজি সোনাসহ দুজনকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। তারা হলেন- যাত্রী জুয়েল ও বিমানবন্দরে হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদ। এ সময় তাদের কাছে ১৬টি গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম গোল্ড জুয়েলারিসহ মোট ১ কেজি ৯৫৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। গতকাল রাত ১০টার দিকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিয়াউল হক বলেন, রাত ৭টার দিকে দুবাই থেকে আসা এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যাত্রী জুয়েল শাহজালালে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে আসার পর আগে থেকে ফোনে যোগাযোগ করে রাখা হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সফঙ্গ দেখা করেন। এ সময় ৪ নম্বর এরাইভাল লাগেজ বেল্টের কাছে যাত্রী জুয়েল হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের কাছে একটি কালো রঙের পাওয়ার ব্যাংক এবং টেপে মোড়ানো চার পিস গোল্ডবার দেন। ওই যাত্রীর কাছে আরও দুটি গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম গয়না ছিল। এপিবিএনের গোয়েন্দা দল সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের নজরে রাখে এবং গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পর তাদের দুজনকেই আটক করে। এ সময় জুয়েলের কাছে থাকা পাওয়ার ব্যাংকের ভিতরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১০টি গোল্ডবার খুঁজে পায় এপিবিএন। এ ছাড়াও তার প্যান্টের পকেট থেকে তল্লাশি করে আরও চারটি গোল্ডবার পাওয়া যায়। অপরদিকে যাত্রীকে তল্লাশি করে আরও দুটি গোল্ডবার এবং গয়নাসহ মোট ১ কেজি ৯৫৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে তিনি এই গোল্ড সংগ্রহ করেন। ঢাকা পর্যন্ত গোল্ডবার পৌঁছে দিতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়ার কথা তার। সেই লক্ষ্যেই তিনি বিমানবন্দরে কর্মরত হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এই সোনা চোরাচালান করার পরিকল্পনা করেন। যাত্রী দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষারত এক বাংলাদেশি ব্যক্তির কাছে থেকে এই গোল্ড সংগ্রহ করেন। ঢাকায় এসে প্রথমেই তিনি আমজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বেল্ট এলাকায় সোনা লুকিয়ে রাখা পাওয়ার ব্যাংক এবং গোল্ডবার দেন। কিন্তু আমজাদ এবং জুয়েল এপিবিএনের অভিযানে ধরা পড়ে যান।
জিয়াউল হক আরও জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এর আগেও তারা একই পদ্ধতিতে সোনা চোরাচালান করেছেন। এক সপ্তাহ আগের একটি চালান চোরাচালানে সহযোগিতা করায় আমজাদ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।