শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

একজনকে স্ত্রী দাবি করলেন দুই ব্যক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

এক স্ত্রীর দুই স্বামী নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে। এ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হলেও পুলিশের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছেন নারীর প্রথম স্বামী দাবিদার ব্যক্তি। দ্বিতীয় স্বামী ও স্ত্রীকে গতকাল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে আইরিন সুলতানাকে (৩৫) ১৯ বছর আগে বিয়ে করেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার বাদিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. খোকন মিয়া (৪৫)। বিয়ের পর তাদের চার সন্তানের জন্ম হয়। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিলেটে আসেন। ২০১৯ সালে যান মালদ্বীপ। স্বামীর অবর্তমানে সুলতানা সিলেটে একটি রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির চাকরি করা কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কাউয়াদি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেনের (৩৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৫ মাস আগে তারা সিলেটে কোর্ট ম্যারেজও করে ফেলেন। এদিকে স্ত্রী চলে যাওয়ার খবরে দেশে ফিরে হন্যে হয়ে সুলতানাকে খুঁজতে থাকেন খোকন। অবশেষে গত বুধবার বিকাল ৫টায় মহানগরের লামাবাজারে আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে সুলতানাকে পেয়ে যান তিনি। এ সময় সুলতানার বর্তমান স্বামী কবিরও সঙ্গে ছিলেন। তখন তিনজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা, হাতাহাতি ও সুলতানাকে নিয়ে টানাটানি হয়। পরে খোকন ও তার সঙ্গীরা এ দুজনকে ধরে শাহজালাল উপশহরে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় খোকন সন্তান ও তার বোনকে নিয়ে থাকেন। পরে খোকন বিষয়টি নিয়ে সিসিকের ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকীর দ্বারস্থ হন। লাকী পরে এ তিনজনকে পুলিশে তুলে দেন। এদিকে শাহপরাণ থানা পুলিশ এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে মূল ঘটনা কোতোয়ালি থানা এলাকার। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তিনজনকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়। তবে এ সময় খোকন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সটকে পড়েন। পরে সুলতানা ও কবিরকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়। গতকাল সারা দিন গড়িয়ে গেলেও খোকনের খোঁজ পাওয়া যায়নি কিংবা তিনি থানায় এ দুজনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি। পরে বিকালে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সুলতানা ও কবিরকে আদালতে পাঠায়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ওই নারীর প্রথম স্বামী দাবিদার ব্যক্তি বুধবার রাতেই শাহপরাণ থানার সামন থেকে সটকে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার সারা দিন তার কোনো খোঁজ নেই। তিনি কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি। শেষ পর্যন্ত বাকি দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সর্বশেষ খবর