শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

রাজনীতির আড়ালে করেন ডাকাতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে ৪১ লাখ টাকা নিয়ে বাবুবাজার থেকে বাসে ওঠেন শরীয়তপুরের নড়িয়া যাওয়ার জন্য। বাসটি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় পৌঁছালে হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেল সেটি থামায়। পরে মোটরসাইকেল থেকে চারজন ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয়ে বাসে উঠে প্রায় ৪০ জন যাত্রীর সামনে রফিকুলকে মারতে মারতে নিচে নামায়। একপর্যায়ে রফিকুলের ব্যাগভর্তি ৪১ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ ছায়া তদন্তে নামে। ডিবির একাধিক টিম জানুয়ারিতে ভয়ংকর ডাকাত চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- মুজিবুর রহমান ওরফে নলা মুজিবর, জামাল হোসেন, কাউসার আহমেদ ও মাহতাব উদ্দিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল, ১১ লাখ টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এলাকাবাসী রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদার হিসেবে তাদের চিনলেও ঢাকায় থেকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

গতকাল ডিবি লালবাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পর চার ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে কাউসার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুই ডাকাতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পলাতক রাসেল কবির বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের যুবদল সভাপতি। আর গ্রেফতার কাউসার আহমেদ পটুয়াখালী সদর যুবলীগের দাতা সদস্য ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। এলাকার মানুষ তাদের রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদার হিসেবে চিনলেও ঢাকায় করেন বড় বড় ডাকাতি। গত কয়েক বছরে চক্রটি ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে কয়েকটি বড় ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয়। এর মধ্যে কাউসার ডাকাতির টাকায় জেলা সদরে জমি কিনে বানাচ্ছেন বহুতল ভবন।

 

সর্বশেষ খবর