শিরোনাম
রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওরা কাভার্ড ভ্যান থেকে উধাও করে রপ্তানিপণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাজিলে রপ্তানি করা গার্মেন্ট পণ্য চোর চক্রের মূল হোতা শাহেদ ওরফে সাঈদ ওরফে বদ্দাসহ (৫০) চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। গ্রেফতার অন্যরা হলেন- মো. ইমারত হোসেন সজল (৩৭), শাহজাহান ওরফে রাসেল ওরফে আরিফ (৩০) ও মো. হৃদয় (২৮)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল শুক্রবার রাতে পৃথক অভিযানে মৌলভীবাজার, গোপালগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ব্রাজিলে রপ্তানির জন্য চুরি যাওয়া পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান। র‌্যাব বলছে, কেবল এই চক্রটিই দেড় যুগ ধরে শত কোটি টাকা মূল্যের রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্ট পণ্য চুরি করেছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গাজীপুরের কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে পোশাকের একটি চালান ব্রাজিলে রপ্তানির উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। পরদিন ৮৯৮ কার্টনভর্তি সোয়েটার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। ক্রেতা-মনোনীত শিপিং প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারেরও বেশি মূল্যের চালানটি গ্রহণ করে ব্রাজিলে পাঠান। সে মোতাবেক বন্দর থেকে চালান বহনকারী জাহাজটি রওনা দেওয়ার পরপরই ক্রেতা পুরো অর্থ পরিশোধ করেন। তবে ৬ জানুয়ারি ব্রাজিলের ক্রেতার কাছ থেকে পাওয়া ভিডিও দেখে হতবাক হয়ে যান গার্মেন্ট মালিকপক্ষ। দেখা যায়, কিছু কার্টন সম্পূর্ণ খালি এবং অনেকগুলো কার্টন থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য খোয়া গেছে। পরবর্তী সময়ে চুরি হওয়া গার্মেন্ট পণ্যের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা হিসেবে পরিশোধ করতে হয় মালিকপক্ষকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ ২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের গাছা থানায় চুরির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরে চোরচক্রের সদস্যদের গ্রেফতারসহ ঘটনার রহস্য উদ্্ঘাটনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র‌্যাব।

যেভাবে গডফাদার শাহেদ : র‌্যাব সূত্র বলছে, গ্রেফতার শাহেদ চট্টগ্রামে থাকাকালে ১৯৯৬ সালে দুটি ট্রাক কিনে লোকাল ব্যবসা শুরু করেন। পরে ২০০৪ সালে ট্রাক দুটি বিক্রি করে চারটি কাভার্ডভ্যান কিনে শুরু করেন গার্মেন্ট পণ্য পরিবহন। কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপারদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সহায়তায় গার্মেন্ট পণ্য চুরির কার্যক্রমের জন্য একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র তৈরি করেন তিনি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি সশরীরে উপস্থিত থেকে চুরির কার্যক্রম চালিয়ে যান। ২০১৮ সালের পর শাহেদ পর্দার আড়ালে থেকে চুরির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। প্রতিটি চুরির ঘটনায় আয় করা অর্থের সর্বোচ্চ অংশ পেতেন তিনি।

সর্বশেষ খবর