বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ রপ্তানি প্রকল্প

দুই পক্ষের বক্তব্যের হলফনামা চাইলেন কলকাতা হাই কোর্ট

কলকাতা প্রতিনিধি

‘আত্মপক্ষ সমর্থনে তোমাদের যে বক্তব্য তা হলফনামা আকারে আদালতে পেশ কর।’ গতকাল বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ রপ্তানি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও বাদীপক্ষকে এ নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্ট।

আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ রপ্তানি প্রকল্পের বিরোধিতা করে এর ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ৩১ জানুয়ারি হাই কোর্টে জনস্বার্থে মামলাটি করেন পশ্চিমবঙ্গের ৩০ জন ফল বাগিচা চাষি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (এপিডিআর) নামে একটি সংস্থা।

গতকাল ছিল মামলার শুনানি। এদিন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে দুপুর ১টা নাগাদ শুনানি শুরু হয়।

আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ঝুমা সেন বলেন, ‘ঝাড়খন্ড ও মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে হাই টেনশন বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ করেছে আদানি। কৃষকদের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। একের পর এক আম গাছসহ ফলের গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। প্রান্তিক কৃষকদের এ গাছগুলো জীবন-জীবিকার অর্থ জোগান দেয়। কৃষকদের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা না করেই আদানি সব কাজ করেছে।’ জুমা সেন অবিলম্বে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন জানান। ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত আদানির বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ বন্ধ রাখারও আবেদন করেন তিনি।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আদানি গোষ্ঠীর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘সমস্ত নিয়ম মেনেই বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন মেনে বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ হয়েছে। যে কৃষকরা বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এখানে কৃষকরা তথ্য গোপন করছে।’

দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষকে আদালতে হলফনামা আকারে তাদের সপক্ষে গোটা বিষয়টি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ এপ্রিল।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর