শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মানুষের ৫ কোটি টাকা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

‘১ লাখ টাকা বিনিয়োগ কর, এক এক সপ্তাহ পর তোমাকে দেব ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। যত বেশি বিনিয়োগ তত বেশি পাবে মুনাফা।’ এ রকম প্রলোভন দেখিয়ে দুই গ্রামের অন্তত ১৫ জন মানুষকে ফাঁদে ফেলে তাদের ৫ কোটি টাকা নিয়ে গাঢাকা দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা শান্ত কুমার রায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে শান্ত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক। রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও। ধর্মীয় আচার-আচরণ মেনে চলেন। সক্রিয় সদস্য ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস)। গত শনিবার থেকে শান্ত নিখোঁজ। এরপরই চাউর হতে থাকে তার প্রতারণার কাহিনি। বুধবার বিকাল পর্যন্ত অন্তত ছয়টি অভিযোগ পড়েছে নবীনগর থানায়। এসব অভিযোগে শান্তর বাবাকেও বিবাদী করা হয়েছে। শান্ত যাদের টাকা আত্মসাৎ করেন তাদের মধ্যে শ্যামল চন্দ্র দাস ৮ লাখ ৬০ হাজার, ছগির আহমেদ ১২ লাখ, হক সাব ৪০ লাখ, আব্বাস উদ্দিন ২০ লাখ ৬০ হাজার, সুজন মিয়া ২০ লাখ, অক্লান্ত দেবনাথ ৩ লাখ টাকা। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিয়েছেন সাইমন স্টোরের মালিক মাহফুজুর রহমান ৩ লাখ ৬ হাজার, ঢাকা কনফেকশনারির বাবুল মিয়া ১১ লাখ, জাহাঙ্গীর আলম ৩৯ লাখ, বিকাশ এজেন্ট আরিকুর রহমান রনি ৩ লাখ, আরেক বিকাশ এজেন্ট মা টেলিকম থেকে ৮০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও বড়িকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১ লাখ ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রিফাত আহমেদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন শান্ত। জানা যায়, শান্ত দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। জেলা ছাত্রলীগের এক নেতার মাধ্যমে তদবির চালান। তার বরাত ভালো। ওই নেতার প্রভাবে এক লাফে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে যান। এক পর্যায়ে হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক। তিনি নিজেকে সিগারেট, স্বর্ণ ও জমি ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে ‘প্রচুর মুনাফা দেন/ আমার কাছে টাকা খাটাও’ বলতেন। প্রথম দিকে পরিচিত ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করতে অল্প টাকায় অধিক মুনাফা দিয়েছেনও। কেউ লাখ টাকা দিলে তাকে সপ্তাহে ১০ হাজার টাকাসহ ফেরত দিয়েছেন। শান্তকে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন উজ্জ্বল হক। তিনি বলেন, ‘শান্ত ও তার বাবা ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে প্রায়ই টাকা নিতেন। আবার ফেরতও দিতেন। সর্বশেষ ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর