শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই পুলিশ ফাঁড়ির মাঝে রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আবদুল্লাহ আল জাহের নামে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ এলাকায় দুই পুলিশ ফাঁড়ির মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে রাবির মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। ছুরিকাঘাতে আহত আবদুল্লাহ আল জাহের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার সহপাঠী আবদুল গফুর জানান, রাতে জাহের চারুকলা থেকে মূল ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলেন। রাত ৮টার দিকে তার পথ রোধ করে ৮-১০ জন প্রথমে টাকা চায়। পরে বিকাশে ১০ হাজার টাকা দিতে বলে। টাকা দিতে না পারায় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা চলে যায়।

ঘটনার পর তাকে প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর জানান, আবদুল্লাহ আল জাহের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাহেরের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের পাশে আঘাত লেগেছে। আপাতত সে শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এদিকে ছিনতাইকারীর হাতে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাত সাড়ে ১০টা দিকে সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রশাসন ভবনের সামনে মতিহার জোনের এডিসি একরামুল হক, প্রক্টর আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। পরে তারা প্রশাসনের আশ্বাসে রাত পৌনে ১২টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমার ভাইকে মেরেছে, কালকে স্যারকে মারবে আর প্রশাসন শুধু আশ্বাস দিয়েই যাবে।’

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, ঘটনাস্থলে দুই থানা পুলিশ অবস্থান করছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর