শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, বাবাকে আটকে নির্যাতন!

নরসিংদী প্রতিনিধি

ছেলে ছাগল চুরি করেছে- এ অভিযোগ তুলে বাবা আঙ্গুর মিয়াকে (৫০) আটকে রেখে দিনভর নির্যাতন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লব। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১ লাখ টাকাও দাবি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নে।  জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার বাবা আঙ্গুর মিয়াকে গতকাল সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়  সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার চরসাগরদী গ্রামের এক বাড়ি থেকে ছাগল চুরি হয়। এর জন্য অভিযুক্ত করা হয় আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাদিকুল ইসলামকে। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তার খোঁজে বাড়িতে যান ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার রশিদের লোকরা। তারা খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পেয়ে ফিরে যান। পরে সকাল ১০টার দিকে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে লোকজনসহ কাউছার চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়ার বাড়িতে আসেন। ছেলেকে না পেয়ে তিনি আঙ্গুর মিয়া ও তার স্ত্রী রিমা আক্তারকে টেনেহিঁচড়ে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান। দুজনকে ইউপি কার্যালয়ে নেওয়ার পর স্ত্রী রিমা আক্তারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আটকে রাখা হয় আঙ্গুর মিয়াকে। তারপর চলতে থাকে নানামুখী নির্যাতন। একপর্যায়ে তাকে ছাড়ানোর জন্য পরিবারের লোকজন গেলে ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার তাদের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত আঙ্গুর মিয়াকে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। রাত ২টার দিকে মুচলেকা আদায় করে চেয়ারম্যান তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লব বলেন, আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাদিকুল আগে এলাকায় অনেক গরু ছাগল চুরি করেছে। আঙ্গুরের ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। ছেলেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় বাবাকে আটক করা হয়। তবে, তাকে মারধর করা হয়নি ও কোনো টাকাও চাওয়া হয়নি। মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর