সংঘাতময় সুদান থেকে দেশে ফেরার জন্য রওনা দেওয়া ৬৭৫ জন বাংলাদেশি এখন রাজধানী খার্তুম থেকে বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে তারা সৌদি আরবের জেদ্দায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। ট্রাভেল পারমিট ইস্যু ও জাহাজের শিডিউল পেতে দেরি হওয়ার জন্য তারা এখনো জেদ্দায় পৌঁছাতে পারছেন না। তবে যে কোনো সময় এই শিডিউল পাওয়া গেলেই তারা জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্মকর্তারা। জেদ্দা থেকে ধাপে ধাপে বিমানে করে তাদের ঢাকা নিয়ে আসা হবে। সূত্র জানায়, সুদানে আটকে পড়া ৬৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক ৩ মে পোর্ট সুদান পৌঁছান। তবে পোর্ট সুদানে পৌঁছানোর পর দেখা যায়, অনেক বাংলাদেশির পাসপোর্ট নেই। সে ক্ষেত্রে তাদের ট্রাভেল ডকুমেন্ট তৈরি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া জেদ্দায় যাওয়ার জন্য জাহাজের শিডিউল পেতে দেরি হচ্ছে। পোর্ট সুদান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, পোর্ট সুদানে গত দুই দিন ধরে পরিবার-পরিজনসহ অপেক্ষা করছি। তবে কখন জেদ্দার জাহাজে উঠতে পারব, তা কেউ বলতে পারছেন না। আমরা এখানে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছি। সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলমান। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় চারশর অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আটকে পড়া ৬৭৫ জন বাংলাদেশিকে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে আনা হয়। এখন পোর্ট সুদান থেকে তাদের জেদ্দায় ফিরিয়ে আনা হবে। জেদ্দার দুটি বাংলাদেশ স্কুলে সুদান প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুদান প্রবাসীরা যেদিন জেদ্দা পৌঁছবেন সেদিন থেকেই বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
