সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সবুজায়ন কমে যাওয়ায় বহুমাত্রিক ক্ষতি

----- ড. আদিল মোহাম্মদ খান

সবুজায়ন কমে যাওয়ায় বহুমাত্রিক ক্ষতি

সবুজায়ন কমে যাওয়ায় আমরা বহুমাত্রিক ক্ষতির সম্মুখীন। এর মধ্যে নগরীতে তীব্র দাবদাহ বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে দূষণ। কমছে বৃষ্টিপাত। মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে এর প্রভাব পড়ছে। মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান ও রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি নগরের মধ্যে তিনটি বিষয়ে ভারসাম্য থাকতে হবে। সবুজ এলাকা, কংক্রিট এলাকা ও জলাশয়। সবুজ এলাকা থাকতে হয় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। জলাশয় থাকতে হয় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। আর কংক্রিট এলাকা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ থাকতে পারে। ঢাকা শহরে ৩০ বছর আগেও যে পরিমাণ সবুজ এলাকা ছিল, উন্নয়নের কারণে শহরজুড়েই কংক্রিটে আচ্ছাদিত এলাকা বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিলীন হচ্ছে সবুজ এলাকা ও জলাশয়।

আদিল মোহাম্মদ বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা পরিকল্পিত সবুজ এলাকা গড়ে তুলতে পারিনি। ব্যক্তিমালিকানার জমিতে ভবন তৈরির ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত সবুজায়ন করা হয়নি। সাধারণত ভবনের আশপাশে ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয়, যেখানে সবুজ আচ্ছাদন থাকবে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালার এ বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারিনি। যার ফলে ব্যক্তিমালিকানা ভবনগুলোতে ৯০ শতাংশ, অনেক ক্ষেত্রে শতভাগ কংক্রিটের স্থাপনা তৈরি করেছি। এলাকাভিত্তিক পার্ক, খেলার মাঠ বা অন্য সবুজায়নের বিষয়গুলোও নিশ্চিত করতে পারিনি, যা এখন পরিবেশ রক্ষায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ খবর