রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিরামহীন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এবারের নির্বাচন তার জন্য এখন পর্যন্ত স্বস্তিদায়ক হলেও তিনি নির্ভার থাকতে চান না। এ জন্য ছুটছেন নাগরিক প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। গত এক মাসে তিনি শতাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। যেখান থেকে তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন আগামী ১৯ মে। মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ২১ মে। তার আগেই তিনি মতবিনিময়গুলো করতে চান। ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তার বিরামহীন কর্মসূচি। এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রয়োজন শিল্পায়ন। শিল্পায়নের জন্য বিসিক শিল্পনগরী-২ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হবে। সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটিকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমাদের নতুন প্রজন্মকে আইটি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত করতে নগর ভবনে একটি ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেখানে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ডলার আয় করতে পারবে। কোথায় কাজের অর্ডার পাওয়া যাবে, সেটিও আমরা দেখিয়ে দেব। এ খাতেও অনেক কর্মসংস্থান হবে। এ জন্য কাজ চলছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তিনি আরেকবার সুযোগ চান। ইতোমধ্যে শরিক সংগঠন ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছেন। পাশাপাশি রাজশাহীর পেশাজীবী সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের ভোটের মাঠে নিজের পক্ষে রাখতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সব শ্রেণির মানুষের কাছে সাড়াও পাচ্ছেন তিনি। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, গত ৫ বছর উন্নয়নের রাজশাহীর আমূল পরিবর্তন করেছেন খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি উন্নয়নে পরীক্ষিত। রাজশাহীকে করেছেন দেশের পরিচ্ছন্ন নগরী। আগামীর যে মিশন কর্মসংস্থান এটি বাস্তবায়ন করতে এ নগরে খায়রুজ্জামান লিটনকেই আবারও দরকার। এটি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নাগরিক, পেশাজীবী সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও এবার লিটনের পক্ষে প্রকাশ্যে আসতে চাচ্ছেন। খায়রুজ্জামান লিটনও তাদের সমর্থন নিতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন। যদিও রাজশাহীর ভোটের মাঠে এখন পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী হিসেবে মেয়র লিটন ছাড়া অন্য কারও তৎপরতা নেই। তাই বলে খায়রুজ্জামান লিটন হাত গুটিয়ে বসে থাকছেন না। আগেভাগে দলের কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি নাগরিক সমাজকে পাশে রাখার চেষ্টা করছেন প্রাণান্ত। লিটনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাক হোসেন বলেন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করলেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। কারণ তিনি যে উন্নয়নের সোপান তৈরি করেছেন, তাতে সবার অংশগ্রহণ চান। নাগরিক প্রতিনিধিরাও ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন লিটনের ডাকে।