রবিবার, ২১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাতদিন প্রচারণায় প্রার্থীরা

বিএনপি নেতারা মানবেন না কেন্দ্রের নির্দেশনা

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে বিএনপি। তাদের কোনো নেতাকে মেয়র পদের জন্য তৎপরতাও দেখাতে দেখা যায়নি। সাবেক নেতা সাহিদ হাসান প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তবে তাতেই সীমাবদ্ধ। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অধিকাংশই দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপিপন্থি অন্তত ২৫ জন কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে আছেন। এদের মধ্যে অনেকেই   আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। গত ১০ বছরে বিএনপিপন্থি পাঁচজন কাউন্সিলর আওয়ামী লীগে ভিড়েছেন। এবার নির্বাচন কেন্দ্র করে আরও অন্তত ১০-১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী লিটনের সমর্থন পেতে ছুটছেন।

দলীয় সূত্রমতে, রাজশাহীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে এবার অন্তত ২৫ জন বিএনপিপন্থি নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী হতে আগ্রহী। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ মখদুম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টুটুল, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুস সোবহান লিটন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সহসভাপতি দিলদার হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কিনু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনোয়ারুল আমিন আযব, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আশরাফুল হাসান (বাচ্চু)। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার এবং সংরক্ষিত ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মুসলিমা বেগম বেলি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী না হওয়ার কথা জানিয়েছেন নুরুজ্জামান টিটো। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও শাহ মখদুম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল হোসেন বলেন, ‘দলীয় ব্যানারে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। কাউন্সিলর প্রার্থীদের সেই সুযোগ নেই। এলাকার সাধারণ মানুষ আমাকে চান, তাই এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। দল সাংগঠনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিলেও করার কিছু নেই।’ ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনোয়ারুল আমিন আযব বলেন, ‘দলের কোনো প্রসঙ্গ কাউন্সিলর পদের জন্য নেই। এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। দল সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিলে নিতে পারে।’ রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু সিটি নির্বাচনে এখনো চূড়ান্তভাবে প্রার্থী কেউ হননি। তাই কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ কারা নির্বাচনে থাকছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এমনকি আমরা ভোট দিতেও যাব না।’

 

 

 

সর্বশেষ খবর