সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভোট জমছে সিলেট বরিশালে

ফাঁকা মাঠেও নানা শঙ্কা চ্যালেঞ্জ ভোটার উপস্থিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ফাঁকা মাঠেও নানা শঙ্কা চ্যালেঞ্জ ভোটার উপস্থিতি

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা আছে কেবল আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের। অন্য তিনজন এবারই প্রথম প্রার্থী হয়েছেন। রাজনীতির মাঠে অনেকটাই অপরিচিত তারা। তারপরও লিটনের ভয় সচেতন ভোটার। এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বিজয়ী হচ্ছেন ধরে নিয়ে অনেক ভোটার ভোট কেন্দ্রে নাও যেতে পারেন। এতে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে। আবার লিটন বিজয়ী হলেও মোট ভোটের হারে সেটি সংখ্যায় কম হবে। এতে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে লিটনের  জন্য জয়ের ভোট ব্যবধান কম হবে। যা দেশজুড়ে তাঁর ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলবে। তাই ১৪ দল চাচ্ছে, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে। সেই সঙ্গে যত বেশি ভোট লিটনের পক্ষে নিয়ে আসা যায়। ভোটের দিনটা অনেকটা অলস কাটান অভিজাত এলাকায় বসবাসকারীরা। বাসায় থাকলেও তারা ভোট কেন্দ্রে যান না। যার প্রভাব পড়ে মোট প্রদত্ত ভোটে। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেণী বলেন, অভিজাত এলাকায় বসবাস করা সচেতন ভোটররা যাতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন, সেজন্য তারা উৎসাহিত করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কেন্দ্রে গেলে তারা নৌকায় ভোট দেবেন। কিন্তু অনেকে ভোট কেন্দ্রে যেতে চান না। আমরা এবার তাদের অনুরোধ করব, তারা যেন কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটটা দেন।’ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। রাজশাহী মহানগরী ঘিরে আমি স্বপ্ন দেখি। আমি চাই রাজশাহী মহানগরীকে মডেল শহর করতে। আগামীতে আমার পরিকল্পনায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করার চিন্তা আছে। এ ছাড়া আগামীতে নির্বাচিত হলে আমি কর্মসংস্থানের ওপরে জোর দিতে চাই। এবার কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন হবে ইনশা আল্লাহ। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে ছোট ছোট কারখানা হবে। বড় ব্যবসা-বাণিজ্য ভারতের সঙ্গে হতে পারে। ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে উভয় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছি। প্রথম পর্যায়ে ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এরপর সুলতানগঞ্জ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত। এটি হলে ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল দেশে আসবে, আবার আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন মালামাল ভারতে যাবে। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। মানুষ এই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট দেবেন।’ শেষ পর্যন্ত রাজশাহীতে একটা উৎসবমুখর ভোট হবে বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর