শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংসদ অধিবেশন

বাজেট নিয়ে পাল্টাপাল্টি সরকার ও বিরোধী দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেট নিয়ে পাল্টাপাল্টি সরকার ও বিরোধী দল

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, এ বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার বাজেট। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। যে সরকার বড় বাজেট দিতে পারে, সে বাজেট বাস্তবায়নও করবে। আর বিরোধী দল-জাতীয় পার্টির সদস্যরা বলেছেন, আমলাতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার বাজেট, এ বাজেটে গণতান্ত্রিক কোনো ধারাবাহিকতা নেই। একই সঙ্গে ‘বধিরের বাজেট’ বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী সংসদ সদস্যরা।

গতকাল জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী। বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, হাবিবুর রহমান, তানভীর শাকিল জয়, আনোয়ারুল ইসলাম এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মড়েল। কভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সত্ত্বেও ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বাজেট যেমন দেয় তেমনি সে বাজেট বাস্তবায়নও করে। দেশের উন্নয়নের জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন। সব দেশে ঘাটতি বাজেটের চল রয়েছে। এ বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার বাজেট।

সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য তানভির শাকিল জয় বলেন, বাজেট নিয়ে বিএনপি ও সুশীল বাবুরা যে সমালোচনা করে, তাদের উদ্দেশে দুটি কথা বলছি। কভিডকালীন অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত ছিল তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়েছে। অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিপি গত দুই বছরে বেড়েছে ৬ দাশমিক ২ শতাংশ। ভারতসহ অনেক দেশও তা করতে পারেনি। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে একমাত্র শেখ হাসিনা সরকারই পারবেন। বর্তমানে রেশনিং সিস্টেম চালুর দাবি করেন তিনি। বিশ্ব অর্থনীতির চাপে কিছুটা হলেও দাম সহনীয় রয়েছে বাংলাদেশে। বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির কথা বলা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, বিএনপি আমলে ঢাকা শহরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুৎ নিয়ে কী হয়েছিল? গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এ বাজেটে একটা তীব্র আমলাতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, তীব্র একটি সংখ্যাতত্ত্বের খেলা এবং একটা অগণতান্ত্রিকতা রয়েছে। এ বাজেটটি পেশ করা উচিত জানুয়ারি মাসে। অর্থমন্ত্রী একটি ড্রাফট বাজেট উত্থাপন করবেন তখন, তার পর আমরা পর্যালোচনা-আলোচনা করব। এখানে কোনো সংসদীয় কমিটির সভাপতিকেও ডাকা হয়নি। অথচ আগের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুুল মহিত সাহেব বাজেট পেশের আগে আমাদের দু-তিন দফা ডাকতেন, তার পর মতামত নিতেন। এখানে সে গণতান্ত্রিকতাটা নেই। এটা আপাতত কিছুটা মুখ ও বধিরের বাজেট হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর