বছরজুড়ে ভয়াবহ পতনের মধ্যে কাটিয়েছে শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাওয়া দূরে থাক অনেকে নিজেদের মূলধনও বাঁচাতে পারছেন না। শেয়ারের দর কমে এখন তলানিতে ঠেকেছে। বছর শেষেও কোনো সুখবর পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানা উদ্যোগের পরও চরম অস্থিরতায় ছিল শেয়ারবাজার। পুরো বছর শেয়ারবাজারের সূচক, লেনদেন, মূলধন উত্তোলনে এক ধরনের সংকট দেখা গেছে। বাজার থেকে কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের পরিমাণ কমে আগের বছরের চেয়ে ৩ ভাগের ১ ভাগে নেমেছে। বাজারের এ ভয়াবহ পরিস্থিতির উন্নতি কবে হবে তা কেউ জানে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, ডলার সংকটের সঙ্গে মিলেছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। সরকারের কাছে গুরুত্ব হারিয়েছে শেয়ারবাজার। বাজার পরিস্থিতির উন্নতি করতে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। চলতি বছরজুড়েই একটানা দরপতনে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। গত বছর থেকে ডলার সংকট হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতন শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস (দর কমার নির্ধারিত সীমা) আরোপ করে। এরপর বাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তবে চলতি বছরের গত জুনের আগের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলেও এরপর ফের পতনের দিকে ছুটে চলেছে শেয়ারবাজার। অনেকে বলছেন, ২০১০ সালের পর এত বড় লোকসানে পড়তে হয়নি যা বর্তমান ধসের কারণে হয়েছে। বিএসইসি বিভিন্ন সময় নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে। বিনিয়োগ ধরে রাখতে হবে। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা পুঁজি হারিয়ে অনেকেই দিশাহারা। প্রতিদিনই শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। পতনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কোম্পানিগুলোও। লোকসান কমাতে দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। চলমান দরপতনের পেছনে যুক্তিসংগত কারণ নেই বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরাও। তারা বলছেন, টানা দর পতনের কারণে ভালো মৌল ভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত হচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্ট ও বিনিয়োগকারীদের ধারণা, ফ্লোর প্রাইস দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বাজার আটকে রাখতে চাইছে সরকার। নির্বাচনের পর বাজার নিয়ে চিন্তা করবে। অন্যদিকে বিদেশে ডলার চলে যাবে এ আশঙ্কায় বহুজাতিক কোম্পানির লভ্যাংশ বিতরণ বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগে সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু প্রণোদনা বাজারে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর কোনো কিছু দীর্ঘমেয়াদে কাজে আসেনি। বর্তমানে অলিখিতভাবেই চিহ্নিত কয়েকটি সিন্ডিকেট বাজার ওঠানো-নামানোর দায়িত্ব পালন করছে। অর্থনীতিবিদ ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, মোটা দাগে বাজারে দুটি সংকট। চাহিদার দিক থেকে সংকট হলো-এই বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। ক্রেতা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। সর্বশেষ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ছিল চরমভাবে নিম্নমুখী। চলতি সপ্তাহের পাঁচ দিনের তিন দিনই দরপতন হয়েছে ডিএসইতে।
শিরোনাম
- কানাডায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চায়নের ঘোষণা
- পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের
- যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন
- গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- পরিচয় গোপন করে চ্যাটের সুবিধা আনছে হোয়াটসঅ্যাপে
- ঢাকার বাতাস আজ কতটা বিষাক্ত?
- ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
- মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি
- হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
- ১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
- যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
- দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
- ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
- ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
- হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’