পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের (তিন মেয়ে) বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। অনুসন্ধানে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য এবং কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে তাদের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে রবিবার অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় দুদক। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদেশ দেন আদালত। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাই কোর্ট।
আদালতে দুদকের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সংস্থাটির আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান নিয়ে দুদকের কাছে অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছিলেন হাই কোর্ট। সেই প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে দুদককে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে বলেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ফের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। আর অভিযোগের প্রমাণ মিললে দুদককে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রিটকারী ও রাষ্ট্রপক্ষও উচ্চ আদালতের এই আদেশ নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ২৩ এপ্রিল সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধনে দুদক যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। দুই মাসের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। সে ধারাবাহিকতায় রবিবার হাই কোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় দুদক। প্রতিবেদনটি গতকাল আদালতে উপস্থাপনের পর শুনানি হয়।