মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কক্সবাজারের টেকনাফ সাগর উপকূল থেকে এ পর্যন্ত শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২২ জন।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকার সাগরে গতকাল বেলা ১২টার পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে তিনজন শিশু, পাঁচ নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দুজনকে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়া বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় টেকনাফে সাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের কাছে নিহতদের লাশ হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে জানা গেছে।’ এদিকে গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অন্তত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে নৌকাযোগে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছুসংখ্যক আটক করেছে। তাদের বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় ১০ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।