পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গতকাল সকালে কলকাতায় নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, মেয়ে সুচেতনা এবং বহু অনুরাগী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সকালে নাশতা করার পরই হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করেন। ডাকা হয় তাঁর পারিবারিক চিকিৎসকদের। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসিস্ট)-সিপিআইএম শাসনকালে কবি, সুবক্তা, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালে ওই পদে আসীন হন বুদ্ধদেব। পরে তিনি ২০০১ সালের ১৮ মে বিধানসভার নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি এবং ২০১১ সালের ১৩ মে পর্যন্ত টানা এক দশকের বেশি সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রিত্ব করেন। ২০১১ সালে বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মণীশ গুপ্তের কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে ক্রমশ দূরে সরতে থাকেন সিনিয়র এই বাম নেতা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার বাড়িতে যারা ছুটে যান তাদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম, বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। মুহাম্মদ সেলিম জানান, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর মৃতদেহ মেডিকেল ছাত্রদের অধ্যয়নের সুবিধার্থে একটি হাসপাতালকে দেওয়া হবে। জনগণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শুক্রবার সকালে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে সিপিআইএমের রাজ্য সদর দপ্তর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। বিকালে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে মৃতদেহ নিয়ে শোকযাত্রা বের হবে।’