শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এতে ওই এলাকার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বিকালে চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন হিন্দু সমাজ। তাদের দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা আমাদের বাসভবন ও ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা চাই। অতিদ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।
সচেতন সনাতনী নাগরিক : এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু মা-বোনদের ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক। তারা এই সংকটের দ্রুত সমাধান দাবি করেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এ দাবি করেন বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক, বাংলাদেশ সনাতনী সচেতন ছাত্র সমাজ, সনাতনী শিক্ষার্থী ঐক্য এবং সুশীল সমাজের নাগরিকরা। এ সময় রাষ্ট্রের কাছে ২০ দফা অধিকার ও দাবি তুলে ধরেন তারা।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ৫২টি জেলায় : এ ছাড়াও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর চার দিনে দেশের ৫২টি জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে। এ সময় অন্তত ২০৫টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। অবিলম্বে এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।