রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালে বিদ্রোহের ঘটনার পর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) অনেক সদস্যকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা চাকরিচ্যুত প্রত্যেককে পুনরায় পরিবর্তিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) ফিরিয়ে তাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার দাবি জানান।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ও স্বৈরাচার কর্তৃক চাকরিচ্যুত ক্ষতিগ্রস্ত সব বিডিআর সদস্যের ব্যানারে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের হেডকোয়ার্টার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাম দিয়ে একটা অপ্রত্যাশিত নীরবে হত্যাকান্ড হয়েছিল। এ হত্যাকান্ডের দায় এড়াতে পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থাপনার প্রায় ১৮ হাজার ৫১৯ জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিডিআর বিদ্রোহ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। তারা চাকরিচ্যুতিসহ জেল-জুলুম ও অত্যাচারের শিকার হন এবং এখনো অনেকে কারাগারে আছেন।
তারা দাবি জানান, যেসব বিডিআর সদস্য ২০০৯ সালে পিলখানার মিথ্যা বিডিআর বিদ্রোহের দায়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত হয়েছেন এবং বর্তমানে কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখনো বসবাসরত অবস্থায় আছেন, তাদের প্রত্যেককে পুনরায় বিজিবিতে ফিরিয়ে এনে আমাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু ফিরিয়ে দেওয়ার এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখনো যেসব বিডিআর সদস্য কারাগারে আছেন তাদের প্রত্যেককে অবিলম্বে সাজা মওকুফ করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রিয়াজ উদ্দীন, শফি আহমদ, আরিফ হোসেন, রেজাউল করিম, হাবিবুর রহমান, সোলায়মান মিয়া, মো. ইসহাক, মো. রায়হান প্রমুখ।
শাহবাগেও মানববন্ধন : এদিকে দুপুরে শাহবাগেও মানববন্ধন করেছেন তৎকালীন বিডিআরের কিছু সদস্য। সেখানে বক্তব্য রাখেন আবদুল বাছেদ, আতাউর রহমান, মো. আবদুর রশিদ, ইয়াদুল হক, জসিম উদ্দিন, শামীম খান, আহসান হাবীব প্রমুখ।