আজ থেকে মালবাহী ট্রেন, আগামীকাল থেকে মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন এবং ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে আন্তনগর ট্রেন পর্যায়ক্রমে চলাচল করবে। গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালক (জনসংযোগ) দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী শনিবার থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল চলাচল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আন্তনগর ট্রেনের টিকিট আজ থেকে ক্রয় করা যাবে।
শনিবার থেকে আবার চালু হচ্ছে মেট্রোরেল : ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া মেট্রোরেল আবারও চালু হচ্ছে আগামী শনিবার থেকে। এ জন্য মেট্রোরেল চালুর নির্দেশনা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। তার আগে এখন মেট্রোরেল ব্যবস্থার নানা দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে মেট্রোরেলে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করলেও মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে থামবে না। আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি ১৪টি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করতে পারবেন বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে।
সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচলে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে। তবে এর আগেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বিকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়টি তুললে দ্রুত তা চালুর নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, মেট্রোরেল পুনরায় চালুর সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপ হিসেবে আজ সংশ্লিষ্টরা হেঁটে হেঁটে পুরো মেট্রোরেলের পথ পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো। আগামীকাল যাত্রীবিহীন (ব্ল্যাঙ্ক) ট্রেন পরিচালনা শুরু হতে পারে। যাত্রী ছাড়া কয়েক দিন মেট্রোরেল চালানো হবে। এরপরই যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে। কারণ মেট্রোরেলের জন্য আলাদা পুলিশ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ এখনো পুরোদমে কাজে যোগ দেয়নি। যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর আগে পুলিশের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে হবে।
গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই দিন বিকাল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পর দিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। এতে মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয় নিরাপত্তাজনিত কারণে।