বগুড়ায় আদালত চত্বরে হামলার শিকার হয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। গতকাল বেলা ১২টার দিকে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গতকাল বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। বেলা ১২টার দিকে আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার সময় পাঁচ থেকে সাতজন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় তারা হিরো আলমকে বেধড়ক মারধর করে আদালত চত্বরের বাইরে সড়কে নিয়ে গিয়ে কান ধরে উঠবস করান। মারপিটের শিকার হিরো আলম বলেন, এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। ডিবি হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এ কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় সবার সামনে পেটানো হলো। যারা এ হামলা করেছে তাদের সবার ফুটেজ আছে। শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হিরো আলম না জেনেই দোষারোপ করেছেন- বিএনপি : নবাববাড়ী রোডে দলীয় কার্যালয়ে গতকাল বিকাল ৫টার দিকে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, হিরো আলম না জেনেই দোষারোপ করেছেন। আমাদের দলের সম্মানহানির চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি প্রমাণ করতে পারেন এ ঘটনায় বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী জড়িত তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। আর প্রমাণ করতে না পারলে তাকে বিএনপির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। না করলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।