আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন আসামিরা চাইলে বিদেশি আইনজীবী রাখতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে প্রসিকিউশন টিমের কোনো আপত্তি থাকবে না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা যা করা দরকার তাই করা হবে।
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রসিকিউশন টিম কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। আরও কিছু হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে। তদন্তের স্বার্থে গণমাধ্যমের কাছে থাকা ভিডিও-ছবির জন্য চিঠি পাঠানো হবে।
পরে বিকালে গণহত্যার তথ্য-উপাত্ত চেয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের প্রধান, জেলা প্রশাসক, সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও সব জেলা সিভিল সার্জন এবং সব গণমাধ্যমপ্রধানকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমানের স্বাক্ষরে পৃথক চারটি চিঠি প্রেরণ করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গণহত্যার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে আমরা হাসপাতালগুলোতে গতকাল থেকে পরিদর্শন শুরু করেছি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আহ্বান জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, বিভিন্ন কবরস্থান পরিচালনাকারীদের কাছেও তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের সবচাইতে বড় সাক্ষী হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। এ বিচারের সবচেয়ে বড় সাক্ষী তারা। আমরা এ আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করব। আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, এ অপরাধগুলোর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে তদন্তকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন হবে। নিশ্চয়ই আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাইব। আমাদের প্রথম চেষ্টা থাকবে যারা সম্ভাব্য অপরাধী তারা যাতে আদালতের জুরিকডিকশনে বাইরে চলে যেতে না পারেন, সেটা ঠেকানোর চেষ্টা থাকবে। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে নিয়োগ পান আরও চার প্রসিকিউটর।