লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশইনের চেষ্টাকালে তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বাংলাদেশিরা লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে বিএসএফ পিছু হটে। এ সময় এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে হাত-পা বেঁধে সীমান্ত ফেলে রেখে যায় বিএসএফের সদস্যরা। অপরদিকে বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ছয়টি গরু নিয়ে যায়। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, পাটগ্রাম উপজেলার রহমানপুর জীমনাল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এক মানসিক রোগীকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে। এ সময় বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে গেলে বিএসএফের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে গ্রামবাসী লাঠি হাতে বিএসএফের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় বিএসএফ ওই মানসিক রোগীকে সীমান্তের শূন্যরেখায় হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশের ছয়টি গরু বিএসএফ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে।
এসব ঘটনায় সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। রহমানপুর সীমান্তের বাসিন্দা তুহিন ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অংশে ছয়টি গরু ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখলে বিএসএফ তা ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় বিজিবিকে জানানো হয়েছে। সীমান্তের স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা জানান, বিএসএফ যাতে অবৈধভাবে পুশইন করতে না পারে সেজন্য লাঠি হাতে পাহারা বসিয়েছি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফ একজনকে পুশইনের চেষ্টা করে। পরে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের হাত-পা বেঁধে সীমান্তে ফেলে রেখে যায়। এ সময় বিএসএফ জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঢুকে ছয়টি গরু ধরে নিয়ে যায়।