বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে গত সাত দিনে ৩৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলেছে সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ৩৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইএসপিআর আরও জানায়, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলের সম্ভাব্য অস্থিরতা রোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়াও, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুরহাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি, ঈদযাত্রাকে সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৬৭১ জন এবং অন্যান্য ঘটনায় ৪৩৩ জন রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে একটি কালো রঙের লোহার তৈরি দেশি রিভলভার, দুটি ওয়ান শুটারগান, চার রাউন্ড কার্তুজ, একটি চাপাতি, চারটি রামদা, একটি দা ও চারটি এলজি উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মামলার আসামিসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের ধরতে সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।