কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টির প্রভাবে রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে বিভিন্ন সবজির দাম। বিশেষ করে শাকসবজি ও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এমন পণ্যের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা কম থাকায় স্বস্তি মিলছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করলা, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, বরবটি, বেগুন, কুমড়া, লাউ, শসা ইত্যাদি সবজির কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির জন্য মাঠ থেকে সবজি তুলতে ও শহরে পৌঁছানোর সমস্যার কারণে পণ্যের জোগান কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে দামে। বাজারে বর্তমানে বেশির ভাগ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়ও। করলা, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, পেঁপে, চিচিঙ্গা, লতি জাতীয় সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। আকারভেদে প্রতিটি লাউ ও কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে একেকটি লাউ ও কুমড়া বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। এদিকে শসার দরেও পার্থক্য রয়েছে। বাজারে দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, আর হাইব্রিড ৩০ টাকায়। কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০, গাজর ৫০ ও টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক হালি লেবু মিলছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। ডিম ও মুরগির বাজারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছিল। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। কক মুরগি (সোনালি) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। মাছের বাজারেও ছিল তুলনামূলক স্থিরতা। বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৪০, পাবদা ৩৫০, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৮০০, টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০, শিং ৩০০ থেকে ৪৫০, কই ২০০ থেকে ২২০ এবং তেলাপিয়া ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। তবে দেশি শিং ও কই যথাক্রমে ১ হাজার ২০০ ও ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে দু-একদিনের মধ্যেই সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং দামও কিছুটা কমে আসবে।