খুলনায় সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর (৬০) মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। রবিবার রাতে রূপসা ব্রিজের বেজমেন্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
গতকাল দুপুরে জানাজা শেষে তাকে গোয়ালখালী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। এর আগে খুলনা প্রেস ক্লাব চত্বরে ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুকে গণমাধ্যমকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নৌপুলিশ রূপসা ফাঁড়ির এসআই বেল্লাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশ উদ্ধারের সময় তার ডান হাত ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। বুলুর মৃত্যু নিয়ে তার সহকর্মী ও আত্মীয়স্বজনরা জানান, সম্প্রতি তার স্ত্রীর মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। গত মে মাসে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। বুলুর সঙ্গে জমির মালিকানা নিয়ে প্রতিপক্ষের আইনি বিরোধও চলছিল। প্রথমে তার স্ত্রীকে কৌশলে সরিয়ে দিয়ে তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বুলুর পরিবারের সদস্যরা বলেন, বুলু নিঃসন্তান ছিলেন। স্ত্রীর নিখোঁজের পর বুলু একা বাসায় থাকতেন। আত্মহত্যা করতে চাইলে বাসা তার জন্য নিরাপদ জায়গা ছিল।
কেন তিনি আত্মহত্যার জন্য রূপসা সেতু পর্যন্ত যাবেন? বুলুর মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।