ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সকল জেলা প্রশাসক ( ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (আরসি ফুড) কাছে পাঠানো চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী এ নির্দেশন দিয়েছেন।
চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওএমএসের চালের প্রতি কেজির মূল্য ৩০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওএমএস খাতে চালের মূল্য কেজি প্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করে। চলমান সাধারণ ছুটির কারণে গৃহে অবস্থানকারী সাধারণ শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহণ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ও অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় ও জেলাশহর এবং জেলাশহর বহির্ভূত পৌরসভাসমূহে সপ্তাহে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালু করে।
বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধির উপস্থিতি বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার মাত্র ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে। ওএমএস কেন্দ্রসমূহ নিম্ন আয়ে জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানসমূহকে অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ইদানিং কিছু পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যক্তি ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে। যা এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। মন্ত্রী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএস কার্যক্রমে যে কোন প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করার নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন