স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তারা এখানে আসার আগে ভেবেছিলেন, এখানে এলে ঠিকমতো তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হবে না, কষ্টে থাকবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়ার যে সুব্যবস্থা করে রেখেছেন, তা দেখে তাদের ধারণা বদলে গেছে। ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা দেখে তাদের সব ভুল ভেঙে গেছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচর থানা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আরও বাড়বে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে ভাসানচর একটি সমৃদ্ধময় এলাকা হবে। ভবিষ্যতে এই থানাকে প্রয়োজনীয় জনবলসহ সবদিক দিয়ে আরও শক্তিশালী করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ও ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-০৩ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী প্রমুখ।
ভাসানচর মূলত মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা একটি দ্বীপ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬ কিলোমিটার। আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গ কিলিামিটার। হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে ও চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত দ্বীপটি। চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬টি মৌজা নিয়ে গঠিত হলো ভাসানচর থানা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ