২৪ জুন, ২০২১ ২০:৫৭

এডিপি বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

এডিপি বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক

কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের মে মাসে এ বিষয়ক জাতীয় গড় অগ্রগতি ছিল ৫৮ শতাংশ। অবশিষ্ট এক মাসের মধ্যে প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি। 

বৃহস্পতিবার বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব তথ্য তুলে ধরেন। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপির সভাপতিত্বে ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আব্দুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সার ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এডিপি মিটিংয়ের আগে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ প্রদান করেন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও দপ্তর/সংস্থার মধ্যে তিনজনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সিরাজী পুরস্কার পান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মতো সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এসময় কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিধান ৬৭, ব্রিধান ৯৭, ব্রিধান ৯৯, বিনা-১০-সহ অনেকগুলো লবণাক্ত সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলোর পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চাষের জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর