শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এবারের সাম্প্রদায়িক হামলায় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে নতুন প্রজন্মরা, যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বা ১৯ এর মধ্যে। এই পরিবারগুলো ব্যর্থ হয়েছে তাদের মধ্যে মূল্যবোধ বা চেতনা জাগাতে। আমাদের রাজনীতি ব্যর্থ হয়েছে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে। আর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে তাদের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে এই বোধ জাগ্রত করতে হবে যে সামনে আর ব্যর্থ হতে দিবো না কাউকে।
আজ বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ড : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। মুখ্য আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনার ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জামান। একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার উপস্থাপিত প্রবন্ধের ওপর মতামত প্রদান করেন।
দীপু মনি বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং জাতীয় চার নেতা যে বাংলাদেশ গড়তে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করলেন সে বাংলাদেশ গড়বার যেমন উপযুক্ত মানুষ হতে হবে সেভাবে আমাদের নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলব আমরা। অন্য অনেক কিছুর ব্যর্থতাকে হয়তো অতিক্রম করা যায়, কিন্তু শিক্ষার যায়গায় যদি ঘাটতি পড়ে সেটা অনেক প্রজন্মেকে প্রভাবিত করে। সেটার প্রভাব অনেক সুদুর প্রসারী।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্বাধীন দেশের আদর্শ-মূল্যবোধ দূর করে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেয়া। যারা গণতন্ত্র, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক দেশ মেনে নিতে পারেনি তারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত