সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের ১১ জেলায় সৃষ্ট বন্যায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছে ২০০টি মেডিকেল টিম। পুরো বিভাগে সেবা দিতে আরো ৪ হাজার মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, সিলেট অঞ্চলের সব পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশ থাকলেও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, ওষুধ ও সাধ্য অনুযায়ী খাদ্য পাঠানো হচ্ছে।
আজ রবিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত মৃত্তিকাবাহিত কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটসহ কয়েকটি জেলা ব্যাপক বন্যার কবলে পড়েছে। কিছু কম আর কিছু বেশি। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ জন্য ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও করা হয়েছে। বর্তমানে সিলেট অঞ্চলে ২০০টি টিম করা হয়েছে। আমাদের ডাক্তার নার্সসহ অন্যান্যরাও সেবা দিচ্ছে। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজগুলো করা হচ্ছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্থানীয় হাসপাতালে আইসিইউসহ নানা জটিলতা নিয়ে রোগী ভর্তি আছে। কিন্তু পানি উঠে যাওয়ায় তাদের অন্য স্থানে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ভাসমান চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা নেবেন কী-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রতিবছর বন্যা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কোন হেলিকপ্টার, পানিতে চলার অ্যাম্বুলেন্সসহ কোন পরিবহন ব্যবস্থা নেই। আমরা সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরব।’
এদিকে, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে জাহিদ মালেক বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও দৈনিক শনাক্ত ২০ থেকে ৩০ জন ছিল। কিন্তু এখন সেটি কয়েকশো ছাড়িয়েছে। রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে প্রাণহানি বাড়বে। যদিও আমাদের হাসপাতাল ও চিকিৎসার প্রস্তুতি আছে। কিন্তু আমরা মাস্ক যেন ব্যবহার করি, যাতে ঝুঁকিমুক্ত থাকি। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য সব ধরনের সমাবেশ করা উচিত হবে না। একই সঙ্গে সব প্রবেশ পথেই আমরা সতর্কতা দিয়েছি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক