জ্বালানি সংকট ও সারাদেশে চলমান লোডশেডিং ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা বিএনপির কঠোর সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘যাদের সময় (বিএনপির আমলে) বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় জনগণের বুকে গুলি চালানো হয়েছিল, যারা জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিট বিদ্যুৎ জোগান দিতে পারেনি, তারা আজকের সংকট নিয়ে অর্বাচীন মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক।’
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গতকাল বুধবার বিদ্যুৎ সরবরাহে চরম বিপর্যয়ের সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানায় বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ‘সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’
আজ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্বমানব আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট অতিবাহিত করছে। পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোকেও আশঙ্কাজনক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ প্রায় সব রাষ্ট্রেই খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। যার অভিঘাতে আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটের মুখোমুখি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক এ সংকটময় পরিস্থতি বিবেচনা না করে বিএনপি নেতারা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে নানা ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত। কথায় কথায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন- বিশ্বের সব দেশের সরকারই কি তাহলে পদত্যাগ করবে? সব দেশে সরকার পদত্যাগ করলে সমগ্র বিশ্বই তো সরকারবিহীন হয়ে পড়বে! নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর সব রাষ্ট্র সরকারবিহীন চলতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে সব দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব হলো ধৈর্যের সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি বিরোধীদলেরই দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলামরা দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকা পালন না করে তাদের চিরায়ত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন। দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা ‘হাওয়া ভবন’ খুলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল; গণবিরোধী নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। জনকল্যাণের অঙ্গীকারকে পরিহার করে তারা গোষ্ঠীতন্ত্র ও সিন্ডিকেটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ