স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, অর্থ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক ক্ষতি ছাড়া জীবনে কোনো অবদান রাখে না। স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সকলেই জানে। তাই তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ পরিহার করা অপরিহার্য। তামাক ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সময়ের সাথে সকল কিছুই পরিবর্তন হয়। আইনও পরিবর্তন হতে পারে। প্রণীত খসড়াটি যেন দ্রুত আইনে রূপান্তরিত হয় সে চেষ্টা করতে হবে। তামাকের জন্য যে কোটি কোটি টাকা আয় হচ্ছে বলা হয় সেটা স্বাস্থ্য ক্ষতির তুলনায় কিছুই না। বলা হয় যে তামাক বন্ধ হলে ৮০ লাখ লোক বেকার হয়ে যাবে, এটা সত্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে জন্য গাইডলাইন করা হয়েছে।’
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তামাকের চাষাবাদ ও তামাক পণ্য উৎপাদন কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস করে। তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশ স্বাধীন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একাত্ম থাকলে যে কোনো সংকট মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করবোই। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক তাই সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি বুঝে কাজ করতে হবে, যেন কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।’
বিশেষ অতিথি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক বলেন, ‘তামাকের কোনো ভালো দিক নেই৷ তামাক নিয়ন্ত্রণ করলে দেশের স্বাস্থ্যখাত ভালো থাকবে।’
সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত দেশ এবং ২০৪০ সালে আমরা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলন মানুষকে অধিক সচেতন করছে। আইন সংশোধন হলে এ আন্দোলন আরও ফলপ্রসূ হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ