মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব ও দেশপ্রেমের কারণে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে সুনাম কুড়িয়ে রোল মডেল হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে জিয়া, খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য সরকারের ২৯ বছরে দেশে তথা চিরিরবন্দরেও কোন উন্নয়ন হয়নি। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়ে ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রাষ্ট্রদূত বানিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশকে পাকিস্তান বানানোর পাঁয়তারা করছেন। তাদের পাকিস্তন প্রীতির সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় চিরিরবন্দর আমেনা-বাকী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে বাংলাদেশ পুলিশের গার্ড অব অনার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক প্রদান, বিজয় একাত্তর গণগ্রন্থাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, শহীদ মোজাফ্ফর হাউজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আমেনা-বাকী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আসলাম উদ্দিন, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খালিদ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ফুলবাড়ী সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. অজিজুল ইমাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা, যুগ্ন সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, খানসামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আলিম সরকার, বিআরডিবির চেয়ারম্যান আজিমউদ্দিন গোলাপ, চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বজলুর রশিদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামী লীগ ও চিরিরবন্দর এবং খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ