শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশ জনগণকে সম্পৃক্ত করে সমাজের অপরাধ দমন, প্রতিকার ও প্রতিরোধে কাজ করছে। সারাদেশে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে কয়েক লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছে। যার ফলে আমাদের সমাজে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয়, সেগুলো স্বাভাবিক সমাধানে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক সময় দেশের মানুষ পুলিশের কাছে যেতে অনীহা প্রকাশ করত। কিন্তু কমিউনিটি পুলিশিং হওয়ার পর থেকে এই দূরত্বটা কমেছে, সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের একটি যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও সাধারণ জনগণের সম্পর্কের কারণে এখন যেকোনো অপরাধ দ্রুত প্রতিকার করতে পারছি। যারা শুরু থেকে এই কমিউনিটি পুলিশিং গঠনে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী ও প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন প্রমুখ।
পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর যেমন ইলিশের বাড়ি, তেমনিই কমিউনিটি পুলিশের বাড়িও চাঁদপুর। কারণ কমিউনিটি পুলিশের প্রথম কার্যক্রম চাঁদপুর থেকেই শুরু হয়েছিল। পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই এই কমিউনিটি পুলিশের জন্ম।
সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট ছড়াকার ডা. পিযুষ কান্তি বড়ুয়া। এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে এবং কেক কাটা হয়। এসব অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই