ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে বেশকিছু ভারতীয় গণমাধ্যম, এমন অভিযোগ এবি পার্টির। এমন অপচেষ্টা বন্ধুত্বের লক্ষ্মণ নয় দাবি করে অবিলম্বে এসব অপপ্রচার বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এবি পার্টির নেতারা।
আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দলটির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেখ হাসিনা সরকারের চালানো গণহত্যার বিচার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার এতে সভাপতিত্ব করেন।
লিখিত বক্তবে সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দেশ গঠনের মহা চ্যালেঞ্জ এখন ছাত্র-জনতার কাঁধে; এই চ্যালেঞ্জে সফল হতেই হবে। ছাত্র-জনতার অসীম আত্মত্যাগ ও রক্তদানে যে বিজয়; তা ধরে রাখতে হবে। না পারলে শহীদেরা আমাদের ক্ষমা করবে না। ব্যর্থতার জন্য অদূর ভবিষ্যতে আমাদের পরিণতিও হতে পারে আওয়ামী লীগের অনুরূপ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির অপচেষ্টা বন্ধুত্বের লক্ষণ নয়। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টানসহ সকল ধর্মের আমরা সবাই বাংলাদেশি-বাঙালি। কেউ সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নই। এখানে কোনো বৈষম্য বা পৃথক সত্তাগত বিভাজনের সুযোগ নেই। জীবন দিয়ে হলেও আমাদের সবাইকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন রক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার দোসররেরা অবৈধ ক্ষমতার গদি টিকিয়ে রাখতে গিয়ে যে গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসতা চালিয়েছে অবিলম্বে তার সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।’
পরে এই ১০ দফা আহ্বান ও দাবিতে সিঙ্গেল লাইন পদযাত্রা করে দলটি। দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে তা কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ