গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বলে দিতে চাই- আপনারা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যে খেলা শুরু করেছেন, সেটা বন্ধ করুন। অন্যথায় আপনাদের জন্য সেটা শুভ হবে না। সরকারকে অনুরোধ জানাব, সীমান্তবর্তী মানুষকে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে প্রয়োজনে বিজিবির সঙ্গে তারাও কাজ করবে। তবুও ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশের একটা লাশ পড়লে ওপারের দুইটা লাশ ফেলাতে হবে। আজকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন সীমান্তে তারা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। আমাদের কিছু ভূমি দখলের পাঁয়তারা করছে তারা। কারণ, শেখ হাসিনার সরকার অনেক ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার বার্তা, আমরা বেঁচে থাকতে, এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ দেশের এক ইঞ্চি জমিও ভারতকে দখল করতে দেবে না।’
আজ শনিবার দুপুরে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা মাল্টিপারপাস অডিটরিয়াম হলরুমে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন একটা মরা লাশ। কোনোভাবেই এই আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। কারণ, আওয়ামী লীগ যদি আবার কোনোভাবে ফিরে তাহলে তারা আবার ২০০৮ সাল থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত যে নারকীয় তাণ্ডব করেছে, শেখ হাসিনাবাদ কায়েম হয়েছে, এর চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগবিরোধী দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, এই ঐক্যে ফাটল ধরেছে। দলগুলোর মধ্যে যত ফাটল ধরবে ফ্যাসিবাদ তত তাড়াতাড়ি ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
এসময় গণধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান রংপুর-১ আসনে গণঅধিকার কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয়ক হানিফ খান সজিবকে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেন।
গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয়ক হানিফ খান সজিবের সভাপতিত্বে ও গণঅধিকার পরিষদ রংপুর জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খোকন, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য হাজী মো. কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শিশির প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ