ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই ভোটার তালিকা হালনাগাদের যে কার্যক্রম নিয়েছে তাতে তারা দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ব্যার্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন যেমন ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন করে বিতর্কিত হয়েছে, তেমনিভাবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হোঁচট খেয়ে জনগণের মনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার সাপ্তাহিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা অনেক নাগরিক স্থায়ী ঠিকানাবিহীন থাকার কারণে তাদের ও ভোটার তালিকার বাইরে রাখার সংবাদ উদ্বেগজনক। যোগ্য একজন নাগরিক কেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকবে এর জবাব বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। যোগ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করা কমিশনের দায়িত্ব।
সভায় নেতৃবৃন্দ ভোটার হওয়ার যোগ্য প্রত্যেক নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিশ্চিত করতে সময় বৃদ্ধি করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো এবং স্থায়ী ঠিকানাবিহীন ব্যক্তিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম,কে এম আতিকুর রহমান, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, শাহ ইফতেখার তারিক, আলহাজ্ব আবদুর রহমান, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মাওলানা খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতী দেলোয়ার হোসেন সাকী, মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম কবির, এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী ও মুহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত