মানবজাতির পুরুষ পূর্বসূরিদের মুখমণ্ডল বেশ মাংসল ও শক্ত ছিল। সহিংসতা বিশেষ করে মুষ্টিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা হিসেবেই তাদের মুখমণ্ডল ধীরে ধীরে এমন আকৃতি পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণাটির ফলাফল 'বায়োলজিক্যাল রিভিউজ' নামে একটি জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। খবর বিবিসির
গবেষণায় দেখা যায় যে, মানুষের 'হোমো' জাতের ঠিক নিকটবর্তী পূর্বসূরি অস্ট্রালোপিথসদের প্রধানত ঘুষিতে [পাঞ্চ] ভেঙ্গে যাওয়া মুখমণ্ডলের হাড়গুলো বিবর্তনে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। নারী ও পুরুষের মধ্যে মুখমণ্ডলের হাড়গুলোই সবচেয়ে বেশি পার্থক্য দেখিয়েছে বলে এতে দেখা যায়।
জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মতামত হচ্ছে, নারী ও সম্পদ নিয়ে লড়াইয়ের প্রেক্ষপটে সময়ের বিবর্তনে পুরুষ পূর্বসূরিদের মুখমণ্ডলে শক্ত কাঠামো এসেছিল। অর্থাৎ সহিংসতাই গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনজনিত পরিবর্তন ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জীবাশ্ম রেকডর্স থেকেও দেখা যায় যে, অস্ট্রালোপিথসদের মুখমণ্ডলের কাঠামো লক্ষণীয়ভাবেই বেশ দৃঢ় ছিল।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, মানবজাতিসহ অস্ট্রালোপিথসদের উত্তরসূরিদের বেলায় কম মাংসল ও কম দৃঢ় মুখমণ্ডলগত কাঠামো দেখা গেছে।
মানবজাতির অতীত সহিংস না শান্তিময় ছিল- এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিতর্কও গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে বলে একজন গবেষক জানিয়েছেন।