এভারেস্ট আরোহীরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গে প্রতিনিয়তই বর্জ্য ফেলছেন। এতে করে পরিবেশ দূষণ এবং রোগ বিস্তারের আশঙ্কা বাড়ছে। নেপালের মাউন্টেইনারিং এসোসিশনের প্রধান অ্যাঙ্ক শেরিং আজ এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'প্রতি মৌসুমে ৭শ’র বেশি আরোহী এবং গাইড এভারেস্টে দু’মাস সময় কাটান। মার্চ থেকে শুরু হয়ে মৌসুম চলে মে পর্যন্ত। আর এই সময়ে তারা বিশাল পরিমাণ মল-মূত্র ত্যাগ করেন।
পর্বতশৃঙ্গটি যাতে সব সময় পরিচ্ছন্ন থাকে, সেজন্য নেপাল সরকারকে এই বর্জ্য অপসারণ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শেরিং আরো বলেন, মল-মূত্র তো আছেই; এর সঙ্গে আরো আছে অন্যান্য বর্জ্য। গত বছর সরকার এই বর্জ্য অপসারণে এক রুল জারি করেছিল যেখানে বলা হয়েছে, আরোহীরা যখন এভারেস্ট থেকে নেমে আসবেন তখন তাদেরকে সঙ্গে করে ১৮ পাউন্ড বা ৮.১৬ কেজি বর্জ্য নিয়ে আসতে হবে। সমস্যা থেকে উত্তরণে এভারেস্টের বেসক্যাম্পে কর্মরত নেপালি কর্মকর্তারা এখন এ বিষয়টি তদারকি করছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৫০ মিটার উচ্চতার এই এভারেস্ট আরোহণ করেছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিউজিল্যান্ডের আরোহী এডমুন্ড হিলারি সর্বপ্রথম এই পর্বত শৃঙ্গ বিজয় করেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে শত শত মানুষ মারা গেছেন।
এদিকে, এ সপ্তাহ থেকেই চলতি মৌসুম শুরু হয়েছে। চলবে মার্চ-মে জুড়ে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৪ মার্চ ২০১৫/শরীফ