চুম্বন বা চুমু নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। তারপরও এর অনেক মজার তথ্য অনেকের কাছে অজানা। সেটা জানলেও এর প্রতি আকর্ষণ বাড়তে পারে। পাশাপাশি এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কিনা সেটাও পরিস্কার হবে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চুকুর কিচু মজার তথ্য।
১. এক একবারের চুম্বনে মুখের ২৯টি পেশির সঞ্চালন হয়। ফলে নিয়মিত চুম্বনে মুখের চামড়া চট করে কুঁচকে যায় না। স্মুচ বা ঘনিষ্ঠ চুম্বনের সময় থুথু বা স্যালাইভায় থাকে ফ্যাট, মিনারেল সল্ট ও প্রোটিন। আর এক দেহ থেকে অন্য দেহে যখন এগুলো চুম্বনের মাধ্যমে যায়, তখন অপর দেহে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি৷ ফলে শরীরে অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউনিটি ক্ষমতাও দৃঢ় হয়ে ওঠে।
২. গবেষণা বলছে, বিশ্বের ৬৬ ভাগ নারী-পুরুষ চুম্বনের সময় নিজেদের চোখ বন্ধ রাখেন। বাকিরা সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীর দিকে তাকিয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন নারীরা অধিকাংশই বিয়ের আগে প্রায় ৮০ জন পুরুষকে চুম্বন করে ফেলেন।
৩. বিজ্ঞান বলছে, চট করে রোমান্টিক চুম্বনে শরীরের ২-৩ ক্যালোরি খরচ হয়, কিন্তু স্মুচ বা ফ্রেঞ্চ কিসে যেখানে জিভের সঙ্গে জিভের যোগাযোগ থাকে বলে সেখানে ৫ ক্যালোরি খরচ হয়।
৪. সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার আগে যারা স্ত্রীকে চুম্বন করেন, তাদের আয়ু অনেকটাই বেশি হয়।আর উল্টোটা যারা করেন, তাদের ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
৫. জানা গেছে, দীর্ঘ চুম্বনের পর এস্কিমোরা একটা লম্বা শ্বাস নেন। এরপর একজন অন্যজনের নাক চেপে প্রায় মিনিট দুয়েক ধরে থাকে।
৬. পৃথিবীর দীর্ঘতম চুম্বনের রেকর্ডটি মার্কিনীদের দখলে। কিন্তু সেটা এত বেশি দীর্ঘ যে আপনি বিশ্বাস নাও করতে পারেন।রিচ ল্যাংলো এবং লুইসা আলমেডেভোর নামের দুই মার্কিনী কোনো বিরতি ছাড়াই প্রায় ৩১ ঘণ্টা চুম্বন করেন।
৭ চুম্বনের ফলে দাঁতেও চট করে প্লাক জমতে পারে না, কারণ মুখগহ্বরে স্যালাইভার পরিমাণ বেড়ে যায়।
৮. বাৎস্যায়নের কামসূত্রতে প্রায় ৩০ রকমের চুম্বনের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম আধুনিক ফ্রেঞ্চ কিসও। দুই তৃতীয়াংশ লোকই চুম্বনের সময় তাদের মাথা ডানদিকে হেলিয়ে রাখেন। চুম্বনের সময় হার্টবিট বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কেও বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়।
বিডি-প্রতিদিন/০১ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব