জাপানের উপকূলে ভেসে আসছে একের পর এক ভুতুড়ে জাহাজ। এসব জাহাজে কখনো মৃতদেহেরও দেখা মেলে। দুই দশক ধরে এ ঘটনা ঘটছে। জাপানিরা বেশ দায়িত্ব নিয়েই এসব মৃতদেহের সৎকার করছেন। কিন্তু বিষয়টি তাদের বিচলিতও করে তুলেছে। কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না এ ভুতুড়ে জাহাজের আগমন। উল্টো চলতি বছরের শেষের দিকে এমন জাহাজের আগমনের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সম্প্রতি তাদের দীর্ঘ প্রতিবেদনে বলছে, এই জাহাজগুলো আসছে উত্তর কোরিয়া থেকে। দূর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় এসব জাহাজ। পরে মৃতদেহ সমেত ভেসে আসে জাপানের উপকূলে।
উত্তর কোরিয়ার রফতানি আয়ের বড় একটি অংশ আসে চীনের কাছে মাছ ও মাছ থেকে তৈরি খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে। কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর এ খাতের ওপর আরও জোর দিয়েছেন। এজন্য ঝুঁকি দিয়ে দূর সমুদ্রে জেলেদের যেতে উৎসাহিত করছেন তিনি। তার ফলাফল একের পর এক মৃত্যু।
শুধু চলতি বছরই ২৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে জাপান। ৪২ জনকে তারা জীবিত উদ্ধার করেছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না ভুতুড়ে জাহাজের এই আগমন। মৃতদেহবাহী জাহাজগুলোকে ভুতুড়ে বলা হচ্ছে কারণ, জাপানের উপকূলবর্তী মানুষেরাই এ নাম দিয়েছেন।
মাছ শিকার করতে উত্তর কোরিয়ার জেলেরা প্রায় সময়ই ট্রলার-জাহাজ নিয়ে জাপানের জলসীমায় প্রবেশ করছেন। এ জন্য পাহারায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান। জাপানের যারা মৎস্যশিকারের সঙ্গে জড়িত তারা বলছেন, এই মৃত্যুর পেছনে বেশ বড় একটি কারণ আছে। সেটি হলো দূর সমুদ্রে ভাসার মতো সেভাবে টেকসই করে তৈরি করা হয় না এ জাহাজগুলো। এজন্যই বেশি বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
বিডি প্রতিদিন/২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা